গৃহবধূর মৃত‍্যু ঘিরে রহস‍্য ইন্দাসে

18th January 2020 বাঁকুড়া
গৃহবধূর মৃত‍্যু ঘিরে রহস‍্য ইন্দাসে


 

ইন্দাস থানার খোশবাগা গ্রামে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ । মৃতার নাম মিতা বাগদি , বয়স আঠারো । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে । স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানতে পারা যায় ,  মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ি বর্ধমান জেলার রায়না থানার আরুই গ্রামে । একমাস আগেই ইন্দাস থানার খোশবাগা গ্রামের তোতন বাগদি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল । আজ হঠাৎই সদ্য বিবাহিত ওই গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন । তবে ওই গৃহবধর মৃত্যু নিয়ে ক্রমশই ধোঁয়াশা বাড়ছে । কি কারণে ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হলেন সেই প্রশ্নই এখন পুলিশ ও আত্মীয়-পরিজনদের কাছে ঘুরপাক খাচ্ছে । পরিবার সূত্রে জানা যায় পারিবারিক কোনো অশান্তি ছিল না কিন্তু তার পরেও কেন সে এমন ঘটনা ঘটালো বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের কেউই ।

মৃতার মা বলেন আমি আমার জামাইকে কিচ্ছু করবো না ।  আমার কোল খালি হয়েছে আমি ওর মায়ের কোল খালি করবো না । নিজের সন্তান হারিয়ে জীবনের সবথেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় মায়ের এই করুণ আর্তনাদ সকলের কাছেই সন্তান হারানোর কি যন্ত্রনা হতে পারে জামাইয়ের কোন ক্ষতি না চেয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন । 

ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইন্দাস থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । তবে কি কারণে তার মৃত্যু হলো পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ ।

                         ছবি - দেবব্রত মন্ডল





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।